বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জ্যাকসনের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘে বাংলাদেশ সংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি রবার্ট জ্যাকসন ১৯৭৩ সালের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘের তৎপরতার বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি আলোচনা করেন।

জ্যাকসন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে লোক বিনিময় বিষয়সহ বাংলাদেশে জাতিসংঘের তৎপরতার বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এসময় আনরব প্রধান লা কোস্টেও উপস্থিত ছিলেন। পরে জ্যাকসন  বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরের দিন তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে জানানো হয়।

 

১৯৭৪-এর ফেব্রুয়ারি থেকে আদমশুমারি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মালেক উকিল ঘোষণা করেন, ১৯৭৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে আদমশুমারির কাজ শুরু হবে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। গৃহ গণনার কাজ শুরু হবে ১৯৭৩ এর ১৭ নভেম্বর থেকে, যা ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। খবরে বলা হয় মন্ত্রী দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করাকালে এ ঘোষণা দেন। সেখানে বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন এবং সেন্সাস কমিশনার বাহাউদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

দৈনিক বাংলা, ৯ অক্টোবর ১৯৭৩

নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক

মধ্যপ্রাচ্য সংকট আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের অনুরোধেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যুদ্ধে লিপ্ত দেশগুলোর নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন আহ্বান অনীহায় শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নিক্সন ব্যক্তিগতভাবে অধিবেশন ডাকার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

এই দিন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও চলতি মাসে পরিষদের সভাপতি লরেন্সের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা পরিষদের যৌথ অধিবেশন ডাকার অনুরোধ সম্বলিত পত্রটি পাঠানো হয়। বিবিসির খবরে বলা হয় এদিন যেকোনও সময় অধিবেশন বসতে পারে। অপরদিকে সাধারণ পরিষদের মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন ফেলানিকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্যগুলো বিবৃতি আকারে দিতে অনুরোধ করা হয়।

এদিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন বলেন, মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পরিসমাপ্তি যেন ঘটে, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে আগ্রহী। প্রেসিডেন্ট নিক্সন ওভাল অফিসে স্বল্প সময়ের জন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ডেইলি অবজারভার, ৯ অক্টোবর ১৯৭৩

সূর্যের পূর্বতীরে মিসরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা

আরব-ইসরাইল যুদ্ধ তৃতীয় দিনে রণাঙ্গনে অগ্রসরমান মিসরীয় সেনাবাহিনী ইসরায়েলের প্রচণ্ড পাল্টা আক্রমণের মুখে সুয়েজ খালের পূর্বতীরে পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে বলে কায়রো বেতার থেকে ঘোষণা করা হয়। কিছু এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য ইসরায়েলের প্রচণ্ড পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে এবং সুয়েজ খালের ওপর সন্নিবেশিত সেতুগুলো বিচূর্ণ করা নিয়ে ইসরায়েলের দাবি অমূলক।

এদিকে তেল আবিব থেকে বিভিন্ন বার্তা সরবরাহ প্রতিষ্ঠান পরিবেশিত খবরে বলা হয় ইসরায়েল নানা রণাঙ্গনে ব্যাপক সাফল্য দাবি করেছে। ইসরায়েলি সামরিক সূত্রে বলা হয়, ব্যাপক আক্রমণের মুখে সিরীয় সেনাবাহিনী দামেস্কোর দিকে পিছু হটতে যাচ্ছে। এখন তারা পূর্ণোদ্যমে পশ্চাদপসরণ শুরু করেছে। অপরদিকে রণাঙ্গনে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরু করেছে বলে তেল আবিবের সামরিক সূত্র থেকে দাবি করা হয়।