আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই, কখনও পালাবে না: কৃষিমন্ত্রী

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি ও শক্তি হলো এদেশের জনগণ। জনগণের কল্যাণে ও জীবনমান উন্নয়নে আওয়ামী লীগ আন্দোলন, সংগ্রাম ও কাজ করে আসছে। শত জুলুম-নির্যাতনের মধ্যেও আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই। আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে, এই দল, দলের নেতাকর্মী ও দলপ্রধান কোনদিন দেশ এবং জনগণ ছেড়ে পালাবে না।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গরিব, অসহায় ও দুঃস্থ ব্যক্তির মাঝে ঢেউটিন ও অর্থ সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি সবসময়ই পলায়নপর দল। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে ও দুঃসময়ে তারা কখনই এগিয়ে আসেনি, বরং পালিয়ে থেকেছে। দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বন্দুকের নলের মুখে, ক্যান্টনমেন্টে। জনগণের সাথে আপনাদের কোন সম্পর্ক নেই। জনগণের কল্যাণে আপনারা কখনও কোন কাজ করেননি। ধনী-বণিক ও সুযোগসন্ধানীদের জন্য কাজ করেছেন। তাই আপনারা সবসময়ই জনবিচ্ছিন্ন ছিলেন, এখনও জনবিচ্ছিন্ন আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন।

মন্ত্রী বলেন, পালাবেন তো আপনারা। আপনাদের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিদেশে পালিয়ে থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দল চালাচ্ছে। আপনারা আর কোনদিন এদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন না।

প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. রাজ্জাক আরও বলেন, পাকিস্তান সরকারের চরম অত্যাচার-নির্যাতন ও জেল-জুলুমের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কখনও পালান নাই। স্বৈরাচারী আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খানকে মোকাবিলা করেছেন। বার বার জেলে গেছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেওয়া হবে - এটা দেশে-বিদেশে সবাই জানত। বঙ্গবন্ধুও জানতেন তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হবে। তারপরও তিনি ছিলেন অকুতোভয়, পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল কিন্তু পালাননি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৬ মার্চেও তিনি ইয়াহিয়া খানকে ভয় পাননি, পালিয়ে যাননি।

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শত বিপদ ও প্রতিকূলতার মাঝেও জনগণের পাশে রয়েছেন। কখনই মাথা নত করেননি। দেশের মানুষকে ছেড়ে কখনই পালিয়ে যাননি, ভবিষ্যতেও কখনও পালাবেন না। দেশের আপামর জনগণ তাঁর পাশে রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) সামিউল হক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক আহমাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।