গণমাধ্যম এড়িয়ে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় সচিবালয়ে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের। কিন্তু তিনি এ সংবাদ সম্মেলন এড়িয়ে গেছেন। 

জানা যায়, কুমিল্লা ও রংপুরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইনস্ট্যান্ট অ্যাকশনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুসারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে জরুরি সভাও করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিষয়টি নিয়ে তিনি পৃথক সভা করেন ১৪ দলীয় নেতাদের সঙ্গেও। সভায় রাশেদ খান মেনন, দিলীপ বড়ুয়া, মাহবুব উল আলম হানিফসহ অন্য নেতারা এসেছিলেন সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক ঘটনার বিচারের দাবি নিয়ে। বলা ছিল এই সভার মূল অংশ গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সচিবালয়ে দায়িত্বরত সাংবাদিকরাও উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেননি। সাংবাদিকদের এড়িয়ে সচিবালয় ত্যাগ করেছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

অপরদিকে, মন্ত্রিপরিষদের সভা শেষে অনুষ্ঠিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কেবিনেট সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, যারা এর সঙ্গে জড়িত আছে, তাদের অবশ্যই ধরতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে, রিঅ্যাকশন করা যাবে না। কুমিল্লা ও রংপুরের হামলার ঘটনায় জড়িতদের খুব দ্রুত খুঁজে বের করা (ফাইন্ড আউট) হবে।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকে অলরেডি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইনস্ট্যান্ট অ্যাকশন নিতে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, যারা এগুলোর সূত্রপাত করলো, তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবে। পাশাপাশি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বলা হয়েছে, ছোটখাটো টুইস্টিং কেউ করলেই এভাবে রিঅ্যাকশন করা যাবে না।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুক বন্ধের বিষয়ে কেবিনেট মিটিংয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।’

তিনি জানান, ‘এসব বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়মিত ব্রিফ করছেন, সেখানে আমাদের ইন্টেলিজেন্সও কাজ করছে। গতকাল (১৮ অক্টোবর) রাতেও আমরা বসেছিলাম। নিশ্চয়ই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেব আজকে ব্রিফ করবেন। সেজন্য আমি আর এটা নিয়ে বলছি না। কুমিল্লার বিষয়ে আমার ধারণা যে খুব তাড়াতাড়িই একটা ফাইন্ড আউট হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কেবিনেট মিটিংয়ে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, হোম মিনিস্ট্রিকে ইনস্ট্যান্ট অ্যাকশনে যেতে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত আছে, তাদের অবশ্যই ধরতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে, রিঅ্যাকশন করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমার কোরআনের যদি কেউ অবমাননা করে, কোরআন আমাকে অনুমতি দেয়নি যে ঘরবাড়ি ভাঙবো। এটা ঠিক না। এটা অপরাধ। ধর্ম নিয়ে কেউ অবমাননা করলে প্রতিবাদ করতে পারি, সরকারের কাছে দাবি করতে পারি যে ধরে শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু ধ্বংসাত্মক কাজ করবো, এটা সম্পূর্ণ আন-এক্সপেকটেবল, ঠিক না। ইসলামে যেটা সবচেয়ে বড় অপরাধ ফিতনা।’