জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে বাঁচাতে প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন জরুরি: স্পিকার

বৈশ্বিক তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস, প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যগুলো অর্জন এবং প্যারিস রুলবুকের চূড়ান্তকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ), ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (সিসিএ)-এর উদ্যোগে ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-গ্লোবাল পার্লামেন্টারি গ্রুপ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন স্পিকার। বৈশ্বিক জলবায়ুর বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ফোরামে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, সেখানে তিনি এসব দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাই আমরা কপ-২৬ প্লাটফর্মে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য তড়িৎ সমাধান হিসেবে ভর্তুকির আহ্বান জানিয়েছি। বাংলাদেশ শক্তির স্বাধীনতা অর্জন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং শক্তিবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারে ইতোমধ্যে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ গ্রহণ করেছে। প্ল্যানিটারি ইমার্জেন্সি মোকাবিলার মাধ্যমে গ্রহ রক্ষা এবং এর যথাযথ সংরক্ষণে বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি।’

অনারারি আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জিসিএ সভাপতি বান কি মুন, আইপিইউ মহাসচিব মার্টিন চুংগঙ, মালদ্বীপের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ, ফিলিপাইনের ডেপুটি স্পিকার লরেন লেগার্দা এবং ইউকে হাউজ অব কমন্সের সংসদ সদস্য ডেরেন জোন্স কি-নোট বক্তব্য রাখেন। সিভিএফ প্রেসিডেন্সি অব বাংলাদেশের স্পেশাল এনভয় আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।