এদিন থেকে বঙ্গবন্ধু ছোট গাড়ি ব্যবহার শুরু করলেন

(বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর সরকারি কর্মকাণ্ড ও তার শাসনামল নিয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বাংলা ট্রিবিউন। আজ পড়ুন ১৯৭৩-৭৪ সালের ১০ নভেম্বরের ঘটনা।)

 

পেট্রোলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ৯ নভেম্বর থেকে তার সরকারি গাড়ি কালো রঙের লিমোজিনের পরিবর্তে একটি ছোট হালকা সবুজ রঙের গাড়ি ব্যবহার করতে শুরু করেন। সকালে তিনি ধানমন্ডির বাড়ি থেকে সেই গাড়িতে করেই গণভবনে যান।

 

কিসিঞ্জার পিন্ডিতে

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার মধ্যপ্রাচ্য শান্তি মিশনে যাওয়ার পথে যাত্রাবিরতি করেন। ইরান থেকে আগত উড়োজাহাজ সেখানকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরই কিসিঞ্জার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। নিকট প্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সঙ্গে ছিলেন। কিসিঞ্জার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। তিনি ভুট্টোর সঙ্গে বৈঠকে তার পাঁচটি আরব রাজধানীতে ঝটিকা কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং ইরানের শাহের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার বিষয়ে অবহিত করবেন বলে আশা করা হয়।

দৈনিক ইত্তেফাক, ৯ নভেম্বর ১৯৭৪

ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে গেছে

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার অবসানের পর সকালে নতুন পরিকল্পনা শুরু হয়। আত্মরক্ষায় যারা স্থান ত্যাগ করেছিল তারা ঘরে ফিরতে শুরু করে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ দুর্বল হয়ে এদিন সকালে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করে বলে জানানো হয়। এর আগের দিন বিকালে আবহাওয়া দফতরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে—উক্ত ঘূর্ণিঝড় আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলা এবং দ্বীপগুলোতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

দৈনিক বাংলা, ৯ নভেম্বর ১৯৭৪

মিসরে বঙ্গবন্ধুর সফর

১৯৭৪ সালের এদিনে মিসরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ দিনব্যাপী সরকারি সফর শেষ হয়। প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের আমন্ত্রণে এই সফরে ভাতৃপ্রতিম দুটি দেশের সৌহার্দের সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় ও সুদুরপ্রসারী করে তোলার পর বঙ্গবন্ধুর চারদিনের সরকারি সফর শেষ করে ফিরবেন।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সফরের প্রথম দিনেই মিসরের প্রধানমন্ত্রী আবদুল আজিজের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। মিসরের ভাইস প্রেসিডেন্ট আল শাফির সঙ্গেও ঘরোয়া আলোচনা করেন। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা ড. কামাল হোসেন এসব আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। মিসর সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রণাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে বাহিনীর সামরিক অফিসারদের সমাবেশে ভাষণ দেন।

ভাষণে তিনি দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলেছেন, আরবদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের সঙ্গে সাত কোটি বাঙালি থাকবে। সুয়েজ রণাঙ্গন থেকে কায়রো ফিরে আসার পথে তিনি ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধু তার এই সফরে মিসরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থান পরিদর্শন করে একটি দিন অতিবাহিত করেন।