ঢাবির শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন ১ ডিসেম্বর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের বর্ণাঢ্য ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামী ১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই লোটে শেরিং ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উদ্বাধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীও অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শতবর্ষের তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও শতবর্ষের ‘থিম সং’ পরিবেশন করা হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত গ্রন্থ, ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি এ কে আজাদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরকে বিশেষ স্যুভেনির প্রদান করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ওইদিন বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন ২ ডিসেম্বর, তৃতীয় দিন ও চতুর্থ দিন কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিকাল ৪টায় আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। আলোচনা সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও অ্যালামনাই অংশ নেবেন।
প্রথিতযশা শিল্পী ও সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিল্পী ও অ্যালামনাই সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নামকরা শিল্পীদের কনসার্ট পরিবেশনের মাধ্যমে ঢাবির শতবর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব শেষ হবে।