যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক ঢেলে সাজাতে চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক ও গভীর কৌশলগত সম্পর্ককে ঢেলে সাজাতে চায় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি লন্ডন সফরে এ বার্তা দিয়েছেন।

সোমবার বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য ৫০ বছর শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘লন্ডন সফরে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নতুন করে ঢেলে সাজানোর ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

মাসুদ বিন মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী যা বোঝাতে চেয়েছেন, তা হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো হলেও প্রথাগত লেন্স বা প্রিজম দিয়ে দেখার বিষয়টি পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা আছে।

সামগ্রিকভাবে সম্পর্কোন্নয়নে ‘আউট অফ দ্য বক্স’ চিন্তা করলে দু’দেশের জন্য ভালো হবে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র সচিব।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার কাহিনি পরিবর্তন করেছিল বাংলাদেশ। ৫০ বছর পর একই কাজ আবার করছে দেশটি। এই অঞ্চলে জরুরি স্থিতিশীলতা ও কানেক্টিভিটি সেবা প্রদানে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন গল্পের সূচনা করছে বাংলাদেশ।

ইন্দো-প্যাসিফিকে গুরুত্ব

দক্ষিণ এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিকে ভূ-অর্থনীতি ও ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশ কোনও ধরনের আগ্রাসী মনোভাব প্রদর্শন করছে না।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা আশা করি বাংলাদেশের এই মনোভাব আন্তর্জাতিক অংশীদাররা প্রশংসা করবে। আমরা এও আশা করি, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে অংশীদাররা সম্পর্ক ঢেলে সাজাবে।’

 

বৈদ্যুতিক গাড়ি

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তনে একসঙ্গে কাজ করছে এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কাজ গ্রহণ করবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সবুজ অংশীদারিত্বের নিদর্শন হিসেবে এই প্রকল্প দ্রুত গ্রহণ করতে বাংলাদেশ উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের স্টেট মিনিস্টার লর্ড আহমেদ তারিক ওই অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে গুরুত্ব দিই। আগেও আমরা বন্ধু ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছিলাম এবং এখনও দেশটির উন্নয়ন যাত্রায় সঙ্গে আছি।

আহমেদ তারিক বলেন, গত ৫০ বছরে সম্পর্ক কেমন ছিল সেটি নয়, বরং আগামী ৫০ বছরে সম্পর্কে কী রূপান্তর হয় সেটি চিন্তা করতে হবে।