বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের স্মারকলিপি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের দেওয়া স্মারকলিপিটি পর্যালোচনা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ফজলুর রহমান, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম  খান, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, তৈমূর আলম খন্দকার, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, রুহুল কুদ্দুস কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে তাকে স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, স্মারকলিপি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত ও মতামতের জন্য আলোচনা ও সময়ের প্রয়োজন। আমি একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যখন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয়, তখন কিন্তু উনার পরিবারের যে আবেদন—সেটা মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন। তখন কিন্তু কোনও দাবি তুলতে হয়নি, প্রধানমন্ত্রী নিজেই করেছেন। সে ক্ষেত্রে মানবিকতার কমতি আমাদের নেই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মানবিকতা দেখাতে জানেন।

আইনমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের বলেন, ‘৪০১ ধারার আলোচনায় আমি এখন যেতে চাই না। আমাদের স্বাভাবিক আইনে মতপার্থক্য থাকবে। আমারও আপনাদের সঙ্গে আইনের বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। আপনারা যে ৪০১ ধারা, উপধারার কথা বলেছেন, সেখানে আপনারা বলেছেন—কোথাও বিদেশ যাওয়া যাবে না, কথাটি বলা নেই। সেখানে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে বলা না থাকলেও একটা কথা বলা আছে। সেটা হলো, শর্তযুক্ত বা শর্তমুক্ত। ‘সেখানে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। আমি সে আইনের দিকে যাবো না। আপনারা যে স্মারকলিপি দিয়েছেন, সেটা আমি অবশ্যই পর্যালোচনা করবো। তবে সিদ্ধান্ত ও মতামতের ব্যাপারে আলোচনার প্রয়োজন আছে, সেটা আমরা করবো।’

উল্লেখ্য, শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন জানিয়ে তাকে বিদেশ পাঠাতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি।