প্রয়োজনে নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানি হবে পেঁয়াজ: কৃষিমন্ত্রী

দেশে ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিলে প্রতি মৌসুমের সেপ্টেম্বর মাসে নেদারল্যান্ডসে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানিয়েছেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপন, পেঁয়াজ ও আলু সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন, গ্রিন হাউজ ও গ্লাস হাউজ তৈরির ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তাও পাওয়া যাবে সে দেশ থেকে। নেদারল্যান্ডস থেকে বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াকরণে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। ইউরোপের বাজারে কৃষিপণ্যের রফতানি এবং কৃষি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে গত ৯ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ইউরোপ সফর শেষে দেশে ফিরলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ সফরে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলও অংশগ্রহণ করেছিল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, এসিআই অ্যাগ্রো লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফএইচ আনসারী, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী জানান, দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের নিয়ে সরকারের প্রতিনিধিদের নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্য সফরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপন, পেঁয়াজ ও আলু সংরক্ষণে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। কৃষি খাতে সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে ট্রেড মিশন পাঠাবে নেদারল্যান্ডস। এসব বিষয়ে ওখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক শিগগিরই স্বাক্ষর হবে। এছাড়া দেশে ঘাটতি হলে সেপ্টেম্বর মাসে নেদারল্যান্ডসে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণে ডাচ বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন, ‘ইন্টার ল্যাবরেটরি টেস্টিং ভ্যালিডেশন, আইএসও ১৭০২৫ স্ট্যান্ডার্ড’-এর জন্য কারিগরি সহযোগিতা দিতে যুক্তরাজ্যের ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।