‘নেভাল এনসাইন ১০, স্মৃতিতে অম্লান বঙ্গবন্ধু’ উদযাপিত

'নেভাল এনসাইন ১০, স্মৃতিতে অম্লান বঙ্গবন্ধু' শিরোনামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নৌবাহিনী বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দেশব্যাপী দিবসটি উদযাপন করে।

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও নাবিকদের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সহকারী নৌপ্রধান (অপারেশন্স) রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হকসহ নৌ সদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পরিচালক, নৌ কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের নাবিক উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বানৌজা খিলক্ষেতে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদান এবং বানৌজা হাজী মহসীন অডিটোরিয়ামে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এছাড়া, সকালে খুলনায় অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম শহীদ মহিবুল্লাহ’র সমাধিস্থলে গার্ড অব অনার ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে সর্বস্তরের নৌসদস্যের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ পরিচালিত নৌ অপারেশন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণমূলক প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয়। খুলনার বানৌজা উপশমে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। দুপুরে খুলনা নৌ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় দুঃস্থ, অসহায় এবং অসচ্ছল মানুষের মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

চট্টগ্রামের বানৌজা ঈসাখান প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে সর্বস্তরের নৌসদস্যের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের বানৌজা পতেঙ্গায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয় এবং দুপুরে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের হাসপাতাল গেট সংলগ্ন এলাকায় দুঃস্থ, অসহায় এবং অসচ্ছল মানুষের মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তাছাড়া বাদ জুমা সকল নৌঅঞ্চলের মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার রক্তাক্ত ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ধারক এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এ তারিখে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অম্লান স্মৃতি। ১৯৭১-এর এই দিনেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া রণতরী পদ্মা ও পলাশের চরম সাহসিকতা এবং অসামান্য বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ১৯৭১ সালের নৌবাহিনী বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা ও দিক নির্দেশনায় আজ একটি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। 'শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দুর্জয়'—এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে বাংলাদেশের জলসীমার নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে নৌবাহিনীর র‍্যালি