কূটনৈতিক পাসপোর্টে কানাডা গেলেন ডা. মুরাদ

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান গতরাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ঢাকা ত্যাগ করেন। দুবাই হয়ে তার কানাডা যাওয়ার কথা রয়েছে। সংসদ সদস্য হিসেবে কূটনৈতিক (ডিপ্লোমেটিক) পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে তার। আর এই পাসপোর্ট ব্যবহার করেই তিনি কানাডা গেছেন। 

এর আগে সেপ্টেম্বরে এই পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভিসা আবেদন করেন এবং ব্যক্তিগত সফরে কানাডা যান মুরাদ হাসান।

এ বিষয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে মুরাদ হাসানের কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে। তবে সব সংসদ সদস্য যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট গ্রহণ করেন বিষয়টি এমন নয়।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ওই সংসদ সদস্য কূটনৈতিক পাসপোর্ট গ্রহণ করেননি; বরং সাধারণ (সবুজ) পাসপোর্ট ব্যবহার করছিলেন তিনি।’

মুরাদ হাসানের কানাডা সফরের বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘অবশ্যই তিনি ভিসা আগে নিয়েছিলেন এবং ওই কারণে তার পক্ষে সে দেশে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. মুরাদ হাসান। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই ফ্লাইটটি ছেড়ে যায় রাত ১টার দিকে। দুবাই হয়ে কানাডার পথে আছেন ড. মুরাদ।

কে কোন পাসপোর্ট পান

বাংলাদেশে তিন ধরনের পাসপোর্ট প্রচলিত আছে। সেগুলো হচ্ছে—সাধারণ, অফিসিয়াল ও কূটনৈতিক পাসপোর্ট। আগে আরেক ধরনের পাসপোর্ট ছিল, যার মাধ্যমে শুধু ভারতে যাওয়া যেত, কিন্তু আন্তর্জাতিক নিয়মের কারণে ২০১৩ থেকে এটি বন্ধ হয়ে যায়।

সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ) জনসাধারণের জন্য ইস্যু করা হয়, যার মেয়াদ ৫-১০ বছর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এটি ইস্যু করে।

অফিসিয়াল পাসপোর্ট সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের জন্য ইস্যু করা হয়। অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদা পর্যন্ত এই পাসপোর্ট পান। এটিও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে।

কূটনৈতিক পাসপোর্ট কূটনীতিকরা পেয়ে থাকেন। এর বাইরে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী বা তদূর্ধ্ব সচিব বা সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা, হাইকোর্টের বিচারপতি বা তদূর্ধ্ব, মেজর জেনারেল বা তদূর্ধ্বরা পেয়ে থাকেন। এই পাসপোর্টটি ইস্যু করার ক্ষমতা হচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। যেসব ব্যক্তি এই পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন, তাদের ওই পদ হারানোর ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এই পাসপোর্ট ফেরত দিতে হয়। পরে সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ) গ্রহণ করতে হয়।