সমুদ্রতলের সম্পদের পূর্ণ সুবিধা ঘরে তুলতে বর্ধিত সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান 

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, ‘সমুদ্রতলের সম্পদের পূর্ণ সুবিধা ঘরে তোলার জন্য আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের (আইএসএ) কাছ থেকে বর্ধিত সহযোগিতা প্রয়োজন বাংলাদেশের। এর মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সক্ষমতা বিনির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুবিধা হবে।’ জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে অবস্থিত আইএসএ’র ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে গত ১৩ ডিসেম্বর প্রদত্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত রূপকল্প ২০৪১-এর কথা অধিবেশনে তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এর অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করতে সমুদ্রতলের সম্পদ থেকে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধার ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা এবং সাগরের তলদেশে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে সহজতর করার ওপর জোর দেন তিনি।

সমুদ্রতল থেকে খনিজ অন্বেষণের সময় সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষার ওপরও জোর দেন জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি। এক্ষেত্রে তিনি সামুদ্রিক পরিবেশ এবং এর সম্পদের কার্যকর ব্যবহার, সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য সম্প্রতি প্রণীত বাংলাদেশ মেরিটাইম জোনস আইনের বিষয়টি অধিবেশনে তুলে ধরেন।

আইএসএ অধিবেশনে রাবাব ফাতিমা

বার্ষিক অধিবেশনটি হচ্ছে আইএসএ’র সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী অঙ্গ। কিংস্টনে গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই আয়োজন শেষ হবে ১৫ ডিসেম্বর। আইএসএ’র মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজের আমন্ত্রণে তিন দিনের এই অধিবেশনে যোগ দেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এতে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্থায়ী প্রতিনিধি ও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বর্তমানে আইএসএ কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।