দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, মাদক নির্মূল করার জন্য আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। আমরা দেশের মানুষের শান্তি চাই, নিরাপত্তা চাই। উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চাই।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করার এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ৫০ বছর আমাদের স্বাধীনতার, আমরা কতদূর এগোতে পেরেছি সেটাই বড় কথা। দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ২০ ভাগে নামিয়েছি। আজকে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহহারা মানুষ, ভূমিহীন মানুষ, বিনা পয়সায় তাদের আমরা ঘর দিচ্ছি। এই লক্ষ্য ইনশাআল্লাহ আমরা পূরণ করতে পারবো, যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। জাতির পিতা চেয়েছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। আর আমাদের সেটাই লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘‘আজকের বাংলাদেশে আমাদের মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যদিও কোভিড-১৯ আমাদের অনেকটা এগিয়ে যাওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তারপরেও  করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছি। আমরা গ্রামীণ অর্থনীতিকে উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। তাছাড়া সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছি। যেটা জাতির পিতা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি দিয়েছিলেন—‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতি নিয়েই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেই আমাদের দেশের উন্নয়নের চাকা সচল রেখেছি।’’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং তারা পালন করছে। সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ছিল—২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে। আজকে সেটা আমরা অর্জন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য—২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা বিজয়ের উৎসব ব্যাপকভাবে উদযাপন করেছি। করোনার কারণে আগে আমরা করতে পারিনি। তবে এবারে আবার নতুন উদ্যমে আমাদের বিজয়ের এই উৎসব করেছি এবং এই উৎসব শুধু উৎসব না, এই উৎসব আমাদের আগামী দিনের চলার পথের প্রতিজ্ঞা যে বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো। সেই প্রত্যয় ব্যক্ত করে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’ 

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও পঁচাত্তর পরবর্তী পরিস্থিতি বর্ণনা করেন।