ডাকঘরকে শ্রেষ্ঠ সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে: মোস্তাফা জব্বার 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশব্যাপী ডাকঘরের বিস্তীর্ণ অবকাঠামো ও মানবসম্পদ কাজে লাগানোর মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটিকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা অপরিহার্য। এই ক্ষেত্রে কোন আপোস নয়। ডিজিটাল যুগের অপার সম্ভাবনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডাকঘরকে একটি শ্রেষ্ঠ সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) অনলাইনে রংপুরে সংযুক্ত থেকে নবনির্মিত তিনতলা বিশিষ্ট জিপিও ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অস্ট্রেলিয়া ও চীনের ডাকঘরের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাইজেশন যতো সম্প্রসারিত হবে ডাকঘরের প্রয়োজনীয়তা ততো বাড়বে। আমাদেরকে ডাকঘরের আগামী দিনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে যা কিছু করণীয় তাই করতে হবে। তিনি ডাক অধিদফতরের বিদ্যমান মানবসম্পদকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করেন।

মন্ত্রী ডাকঘর ডিজিটাইজেশনে সম্প্রতি প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিস ল্যাব’র পরামর্শগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে ডাক সেবার আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলে উল্লেখ করেন। 

তিনি বলেন, দেশব্যাপী ডাকঘরের সুবিশাল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল কমার্সে নিয়োজিত বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ব্যবহারের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। ফলে দেশব্যাপী দ্রুত সময়ে শাকসবজিসহ পচনশীল পণ্য পরিবহন ও বিতরণ সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে ডাক পরিবহণের গাড়ি ও দেশের ৬৪টি জেলায় সর্টিং সেন্টারে হিমায়িত চেম্বার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর ফলে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। ডিজিটাল কমার্স সেবা যুক্ত করায় ডাক বিভাগ নতুন রূপে আবির্ভূত হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। মহাপরিচালক ডাকবিভাগ ডিজিটাইজেশনে গৃহীত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের অগ্রগতি তুলে ধরেন।