শেষ ধাপে ২১৯ ইউপিতে ভোট ৩১ জানুয়ারি

ষষ্ঠ ও শেষ ধাপে ২১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আগামী ৩১ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩ জানুয়ারি, যাচাই-বাছাই ৬ জানুয়ারি ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ জানুয়ারি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এটিই শেষ ধাপের ভোট। এরপর যেসব ইউনিয়ন পরিষদ বাকি থেকে যাবে সেগুলোতে বিচ্ছিন্ন ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৯২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ তফসিল ঘোষণা করেন। 

সচিব বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সামনে যেসব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের উপযোগী হবে সেগুলো সময়ে সময়ে ভোট হবে। বর্তমান কমিশনের অধীনে আর কোনও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট হবে না- এমন কথা বলা যাবে না। তবে ধাপ হিসেবে এটিই শেষ বলা যায়।

ইসি জানিয়েছে, ষষ্ঠ ধাপের ২১৯টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৯৯২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করা হলো। এর মধ্যে তিন ধাপে দুই হাজার ২২৬টিতে ভোট হয়ে গেছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ও ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম ধাপে ৭০৭টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে। ইসি আরও জানিয়েছে, সারাদেশে মোট ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে চার হাজার ৫৭৮টি। নির্বাচন হয়নি এমন ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৮০৫টি। এর মধ্যে নির্বাচন করার মতো উপযোগী রয়েছে ৩২৫টি। ওই ৩২৫টির মধ্যে ২১৯টিতে ষষ্ঠ ধাপে তফসিল ঘোষণা করা হলো। বাকি ১০৬টিতে ইউনিয়ন পরিষদে কবে ভোট হবে তা কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কর্নারে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ লিখে দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার লোগো থাকবে কিনা- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কারিগরি টিম কাজ করবে। ওই টিমের মতামতের ভিত্তিতে পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন প্রসঙ্গে সচিব বলেন, এ বিষয়ে স্টেক হোল্ডারদের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের মতামত আসুক তারপর কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে পোস্টার রশিতে না ঝুলিয়ে এক জায়গায় বোর্ডে টানানো যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া পোস্টাল ব্যালট অনলাইনে নাকি ট্র্যাডিশনাল হবে- তা চূড়ান্ত হয়নি। 

৩১ জানুয়ারি যেসব ইউপিতে ভোট

1