রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাচলের প্রস্তাবে রাজি নয় বাংলাদেশ

রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাচলের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবে রাজি নয় সরকার। বাংলাদেশ মনে করে, রোহিঙ্গারা স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশে অবস্থান করছে। রোহিঙ্গাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের প্রত্যাবাসনের ওপর। এটাই বাংলাদেশের প্রথম অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

বাংলাদেশে মিয়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরসার উপস্থিতি আছে এ বিষয়ে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার টম অ্যান্ড্রসের মন্তব্যের বিষয়ে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে মিয়ানমারের আরসা সংগঠনের কেউ নেই। কেউ যদি তাদের চিহ্নিত করতে পারে এবং আমাদের জানালে, আমরা ধরে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেবো।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন হচ্ছি রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে। এজন্য তাদের চারপাশে বেড়া দিচ্ছি, যাতে যে কেউ যখন-তখন না ঢুকতে পারে।’

বিষয়টি জাতিসংঘ অপছন্দ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের একটি নিয়ন্ত্রিত জীবন চাইছি, কিন্তু তারা (জাতিসংঘ) সেটি অপছন্দ করে। এটা খুবই অদ্ভুত।’

অবাধ চলাচল

বিদেশি অনেকে রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাচলের বিষয়ে জোর করলেও এ বিষয়ে বাংলাদেশ আগ্রহী নয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের বক্তব্য হচ্ছে—বাংলাদেশের যেকোনও নাগরিকের মতো তাদের সুযোগ-সুবিধা দিতে। কিন্তু তারা এখানে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য আশ্রয় পেয়েছে।’

তারা (জাতিসংঘ) চায়, বাংলাদেশের নাগরিকরা যেসব সুবিধা পায় বা যেখানে ইচ্ছা যেতে পারেন, বা চাকরি করতে পারেন, এটি রোহিঙ্গাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু আমরা এটা চাই না।’

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছি, আপনারা যদি রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন দিতে চান, তাহলে তাদের অন্য কোনও দেশে নিয়ে যান। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’

বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার টম অ্যান্ড্রসের সঙ্গে আলাপের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে উনার আলাপ হয়েছে। আমি এ কথাটাই বলেছি। উনি অবশ্য বললেন, তিনি কয়েকজনকে আমেরিকা নিয়ে গেছেন। তখন আমি বললাম, একজন না, আপনারা যত পারেন নিয়ে যান, কোনও অসুবিধা নেই।’