বিএনপির রাজনীতি বুলেট, রক্ত ও লাশের ওপর দাঁড়িয়ে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি গণতন্ত্র নয়— বুলেট, রক্ত আর লাশের ওপর দাঁড়িয়ে। এ কারণে তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও  সংলাপে বিশ্বাস করে না।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি যে সংলাপের  আয়োজন করেছেন এটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও্র অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্যেই রাষ্ট্রপতি সংলাপের আয়োজন করেছেন। অনেক দেশেই এ ধরনের  কোনও সংলাপ হয় না। এই ভালো উদ্যোগকে তারা (বিএনপি) প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এর অন্যতম প্রধান কারণ বিএনপি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে না। একইসঙ্গে তারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া বিশ্বাসও করে না। তারা ক্ষমতায় এসেছে বুলেটের মাধ্যমে। রক্তের ওপর ও মানুষের লাশের ওপর পা দিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছে এবং মানুষের লাশের ওপরই ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছিল।’

ড. হাছান বলেন, ‘খালেদা জিয়াও চোরাপথে ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপি গণতন্ত্রের মাধ্যমে, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া বিশ্বাস করে না। সবসময় চোরাপথ খুঁজে বেড়ায়। জনগণের ওপর তাদের কোনও আস্থা নেই। সেজন্যই তারা  নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা দেশে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যাতে চোরাপথে ক্ষমতায় যেতে পারে, সেটি কখনও হবে না।’

হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, ‘গতবারও সংলাপের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেখানে এমন একজন নির্বাচন কমিশনার স্থান পেয়েছিলেন, তিনি সবসময়ই বিরোধী দলের পক্ষ হয়ে কথা বলেন। সুতরাং, সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন যে কার্যকর, সেটি গতবারও প্রমাণিত হয়েছে। সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিচ্ছে এবং রাষ্ট্রপতি বিচার বিশ্লেষণ করে দেশের সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। দেশের সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনও কিছু করার সুযোগ নেই।’

বক্তৃতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির চার দশকপূর্তি উপলক্ষে সমিতির সবাইকে অভিনন্দন জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। ড. হাছান বলেন, ‘এদেশে অনেক প্রতিভাবান চলচ্চিত্র পরিচালক রয়েছেন। আমি তাদের কাছে দেশ ও সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে এমন চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানাই। চলচ্চিত্র শিল্পের পুনর্জীবনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন এবং প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের জন্য সহজতম ঋণ চালু করেছেন। এককভাবে বা বিপণীকেন্দ্রে সিনেমা হল নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা চালু হয়েছে, যাতে করে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হন।’

অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব শাহীন সুমনের পরিচালনায় বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, পরিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সহসভাপতি ছটকু আহমেদ, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক শাহীন কবির টুটুল বক্তব্য রাখেন।