খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে: আইনমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ফৌজদারি আইনের ৪০১ ধারায় উনার যে দণ্ডাদেশ, আমরা সেটা স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দিতে পারি, সেই প্রবিশন আছে। এখন ৪০১ ধারায় যেটা আছে— সেটা হলো শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ওভারসিস করসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত ‘ওকাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সরকার চাইলে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে দিতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কিন্তু কোনও কাজই আইনের বাইরে করতে পারে না। সরকারের কিছু করার ইচ্ছে থাকলে, সেটাকে আইনের ধারায় এনে সেই কাজটি করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আত্মীয়-স্বজন একটা দরখাস্ত করেছিলেন। সেখানে তারা কোনও ধারা দেননি। আমার সঙ্গে বা  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কোনও ধারা দেননি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তারা দেখা করেছেন। ফৌজদারি আইনের ৪০১ ধারায় আমরা উনার যে দণ্ডাদেশ, সেটা স্থগিত রেখে মুক্তি দিতে পারি সেই প্রবিশন আছে। এখন ৪০১ ধারায় যেটা আছে, সেটা হলো শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত।’

আনিসুল হক বলেন, ‘তাকে (খালেদা জিয়া) ওই যে দরখাস্ত ছিল, সেটাকে দরখাস্ত হিসেবে গণ্য করে সরকার নির্বাহী আদেশে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে শর্তযুক্ত মুক্তি দিয়েছেন। শর্তের মধ্যে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন, কিন্তু বিদেশ যেতে পারবেন না। তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এটা কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনা করেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু মানবিক দিকটাই বিবেচনা করেছেন।’