টিএসসিতে বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ, কড়াকড়ি থাকবে ভোর পর্যন্ত

কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বর্ণিল আয়োজনে ২০২২ সালকে বরণ করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাত ১২টা বাজতেই ফানুস ও আতশবাজিতে নতুন বছরকে বরণ করে হইহুল্লোড়ে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

১১টার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন টিএসসি এলাকায়। প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

রাত ১২টা বাজতেই শিক্ষার্থীদের উল্লাসে মুখর হয়ে ওঠে গোটা টিএসসি। প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকলেও শিক্ষার্থীদের ঢল বন্ধ করা যায়নি। সবাই সমস্বরে একে অপরকে বলেন, হ্যাপি নিউ ইয়ার। এসএমএস করে প্রিয়জনদের জানান প্রত্যাশা ও শুভকামনা।

এর আগে থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড় ও দোয়েল চত্বর ও শাহবাগ মোড়সহ প্রবেশপথগুলোতে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী দেখা গেছে। এসব প্রবেশপথে তারকাঁটার ব্যারিকেডও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তাই যারা আইডি কার্ড ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বের হয়েছিলেন তাদের পড়তে হয় বিপাকে। তাদের অনেককেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা করতে দেখা গেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পুলিশের উপ- কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ৬টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকবে। এ সময় ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া বাকিরা কেবল পুরনো হাইকোর্ট, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হলের দক্ষিণ ফটক এবং পলাশী মোড় ব্যবহার করতে পারবে। ঢাবি এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্য সব ক্রসিংও বন্ধ থাকবে।

এ সময় শাহবাগ, নীলক্ষেত ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, বকশী বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং এবং চাঁনখারপুল শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোনও যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর নাসিমা বেগম বলেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'আমাদের মাঝে অতিথি হিসেবে এসেছে নতুন বছর। আমরা তাকে বরণ করে নিয়েছি। নানা নিষেধাজ্ঞার পরেও শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিয়েছে।  তাদের থামিয়ে রাখা যায়নি। আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন পৃথিবীকে করোনা মুক্ত করেন।’

 

ছবি: নাসিরুল ইসলাম