নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিধান সংবিধানে নেই: কৃষিমন্ত্রী

নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিধান সংবিধানে নেই, এটি গঠন করার প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রবিবার (২ জানুয়ারি) টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আলোচনা সভা, চেক বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নানান আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু আন্দোলন করে, হুমকি দিয়ে সংবিধানের বিধান থেকে আমাদের সরাতে পারবে না। বিএনপি আসুক বা না আসুক নির্বাচন হবে। তারা নির্বাচনকে ভয় পায়, নির্বাচনে আসতে চায় না। তবে আমি আশা করি, তাদের সুমতি ফিরে আসবে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং দেশে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে সভায় অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, মো. ছানোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার সরকার কায়সার, সিভিল সার্জন আ ফ ম সাহাবুদ্দিন খান, জেলা সমাজসেবার উপ-পরিচালক শাহ আলম, পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী বক্তব্য রাখেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার এমন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, যার ওপর সবার আস্থা থাকবে। এ কমিশন সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসহ কারোই দায়িত্ব থাকবে না নির্বাচনের বিষয়ে। এ কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দেশে সুষ্ঠু,  অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কাজেই কোন দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, সে দায়দায়িত্ব তাদের।

‘মুজিববর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সব ভাতা’ জাতীয় সমাজসেবা দিবসের প্রতিপাদ্যের প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ অসহায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কল্যাণে মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এসব ভাতা প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতি করা যাবে না। ব্যাংকের বা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার যেভাবেই দেওয়া হোক,  এ ভাতা তোলার আগে বা পরে যাতে ঘুষ দিতে না হয়—সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য, জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শক্ত হাতে আইনের প্রয়োগ করতে হবে।

সমাজসেবায় বিত্তশালীদের বেশি এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সমাজে অনেক বিত্তশালী রয়েছেন, তাদেরও দায়িত্ব পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু দুঃখজনক হলো তাদের অনেকের সমাজসেবার মানসিকতা নেই। তারা বিদেশে টাকা পাচার করছে, বাড়ি কিনছে, ছেলেমেয়েকে সেখানে প্রতিষ্ঠিত করছে। এই বিত্তশালীরা সমাজের বিষফোঁড়া, এদের দূর করতে হবে।

এর আগে সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে সার্কিট হাউজ থেকে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠান শেষে ৫০ হাজার টাকা করে ২২৭ জনের মাঝে চেক ও ২০ জনের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়।