ইসি গঠনে আইনের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ রাষ্ট্রপতির

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে বঙ্গভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে ইসি গঠন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে রাষ্ট্রপ্রধান ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিনিধি দলে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। নতুন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতেই রাষ্ট্রপতির এ সংলাপ।

এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মধ্যেই সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা ইসি গঠনে আইনের খসড়ায় সায় দেয়। সেখানে সার্চ কমিটি বিধান রাখা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেওয়া প্রায় সব দলই আইনের দাবি জানিয়েছে। সরকারে পক্ষ থেকেও আইনের কথা বলা হয়েছিল।

মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর খসড়া আইনটি এখন সংসদে যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে আইনসভার অনুমোদন পেলেই আইনটি কার্যকর হবে। সংসদের চলতি অধিবেশনে আইনটি পাস করে এর অধীনে নতুন কমিশন গঠনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ তাদের প্রস্তাব পেশ করে।

প্রেস সচিব জানান, প্রতিনিধিরা বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন। তারা অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব নির্বাচনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

এ ছাড়া একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা, ছবিযুক্ত নির্ভুল ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্রে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটগ্রহণে ইভিএমের ব্যবহার বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করেন প্রতিনিধিরা।

প্রেস সচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। ইতোমধ্যে ২৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’