ঢাকাকে বিদায় জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার

বাংলাদেশে আর্ল আর. মিলার অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। তিন বছরের বেশি সময় কাজ করার পর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেলেন এই মার্কিন রাষ্ট্রদূত। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা ত্যাগ করেছেন তিনি।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন আর্ল মিলার। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি রাষ্ট্রদূতের।

নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আর্ল মিলার রাষ্ট্রদূত থাকাকালে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তেমন তাপ-উত্তাপ ছড়ায়নি। তবে বিদায়ের ঠিক আগে গত বছরের ডিসেম্বরে র‌্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে কঠিন সময় পেরোতে হয়েছে তাকে।

ফেসবুকে ইউএস অ্যাম্বাসি ঢাকা পেজে আর্ল আর. মিলার লিখেছেন, ‘গত তিন বছরে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জীবনের একটি বড় সম্মান এবং আনন্দ। আমার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতি হয়ে থাকবে বাংলাদেশের জনগণের উষ্ণতা ও সৌজন্য। আমেরিকান কূটনীতিক হিসেবে গত ৩৫ বছরে আমি এমন কোনও দেশে কখনও কাজ করিনি, যেখানকার মানুষেরা এত অতিথিপরায়ণ, চিন্তাশীল ও অমায়িক। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক শক্তিশালী এবং আরও শক্তিশালী হবে।’

গত তিন বছরে বাংলাদেশে নিজের সেরা স্মৃতি প্রসঙ্গে ফেসবুকে ইউএস অ্যাম্বাসি ঢাকা পেজে আরেকটি পোস্টে আর্ল আর মিলার বলেন, ‘রিকশার রঙ আর চালকদের মুখের কথা মনে পড়ে যাবে। পুরনো ঢাকার ছাদ আর ঘুড়ি কিংবা সন্ধ্যার আকাশে পাখির উড়ে যাওয়া মনে পড়বে। আমি দেখেছি, স্কুল ইউনিফর্ম পরা শিশুরা গ্রামের রাস্তায় হেঁটে বাড়ি যাচ্ছে। এছাড়া জাহাজভর্তি চট্টগ্রামের নদী, কক্সবাজারে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নৌকা, সিলেটের গাঢ় সবুজ পাহাড়, বরিশালের উদ্দাম সবুজ, বান্দরবানের পাহাড় ও সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভে সকালের কুয়াশা; সবই অনবদ্য।’

ঢাকায় আমেরিকার নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার হাস আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি) এসে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক বিষয়ে জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন তিনি।