আওয়ামী লীগ-বিএনপির যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের খবরে সংসদে আলোচনা

আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসলেই লবিস্ট নিয়োগ করেছে কিনা, করে থাকলে এর পেছনে কোন দল কত টাকা খরচ করেছে, এই টাকা কোথা থেকে খরচ করা হয়েছে—এসব বিষয়ে জাতীয় সংসদে সুনির্দিষ্ট তথ্য উপস্থাপনের দাবি উঠেছে।

রবিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির  হারুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক এই দাবি জানান। তাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন আগামীকাল (সোমবার) জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে বক্তব্য দেবেন বলে সংসদকে অবহিত করেন।

বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, অনুমাননির্ভর বক্তব্য উপস্থাপন করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘকে নোটিশ করেছে র‍্যাবকে শান্তিরক্ষা মিশনে না নিতে, সেটার কী অবস্থা। যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটার কী অবস্থা? এসব নিয়ে আগামী দিন সুস্পষ্ট তথ্যসহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বিবৃতি দেবেন বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, বিএনপি আসলে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছে কিনা, আওয়ামী লীগ করেছে কিনা, এসব বিষয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করবেন বলেও তিনি আশা করেন।

এর আগে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, বিএনপি গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্টের পেছনে ৩২ কোটি টাকা খরচ করেছে। কী কারণে তারা এই লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল? এটা কী দেশের জনগণের স্বার্থে? রাষ্ট্রের স্বার্থে? নাকি জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে? এই বিষয়টি ক্লিয়ার হয়নি।

মুজিবুল হক বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিএনপির একজন নেতা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন—ক্ষমতাসীন দল ২০১৪ সাল থেকে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তিনি বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল লবিস্টের পেছনে তিন লাখ ২০ হাজার ডলার বা ৩০ কোটি টাকা প্রতি বছর খরচ করে আসছে।

মুজিবুল হক বলেন, 'ক্ষমতাসীন দল আসলে লবিস্ট নিয়োগ করেছিলেন? কী কারণে করেছিলেন? এই টাকা কী সরকারের কোষাগার থেকে গেছে? নাকি দলের নিজস্ব সোর্স থেকে গেছে?'

চুন্নু বলেন, দেশের মানুষ এবং আমরাও জানতে চাই বিএনপি লবিস্ট নিয়োগের টাকা কোত্থেকে পেল? ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও লবিস্ট নিয়োগ করেছিলেন কিনা, করলে তার ফান্ড কোত্থেকে পেল? এই বিষয়ে নিরপেক্ষ সংস্থার তদন্ত বা সরকারের একটি বিবৃতি চাই। দেশের মানুষকে এটা জানানো হোক।'

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সংসদকে জানান, আগামীকাল তিনি এ বিষয়ে সংসদে বিবৃতি দেবেন।