বাণিজ্য মেলা বন্ধ চায় জাতীয় কমিটি

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রমণশীল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে রোগী বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, বাড়ছে শনাক্তের হারও। ওমিক্রন তাণ্ডবের মধ্যে দেশে যে হারে রোগী শনাক্ত হচ্ছে, এভাবে এত দ্রুত শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা আগে দেখা যায়নি।

এই অবস্থায় সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে বাণিজ্য মেলা বন্ধ করার সুপারিশও করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সরকারকে এই সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিধিনিষেধ কঠোর করতে সরকারকে কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করাও জরুরি। শুধু নির্দেশনা দিলেই হবে না, বাস্তব প্রয়োগও দরকার। অর্থাৎ গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, সবাই মাস্ক পরবে, অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। এগুলো ভালোভাবে হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্য মেলা চলছে, যা খোলা রাখা উচিত না। এখন এগুলোর যদি বাস্তব প্রয়োগ না হয়, তাহলে ভালো ফলাফল আসবে না। এ জন্য আমরা বলেছি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

রোগী শনাক্তের ঊর্ধ্বগতিতে লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কিনা প্রশ্নে অধ্যাপক সহিদুল্লা বলেন, লকডাউন এই মুহূর্তে খুব লাভ হবে না। লকডাউন দেওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি।

দেশে ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে। যখন দেখবো হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছি না, তখন লকডাউন দেবো। লকডাউনে কিছু সুবিধা হবে, কিন্তু জীবিকার ওপর যে প্রভাব পড়বে, তাও কম না। এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: তবুও বাণিজ্য মেলা কেন চলবে?