র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইইউ পার্লামেন্টের চিঠি ব্যক্তিগত উদ্যোগ

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা চেয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য স্লোভাক নাগরিক ইভান স্টেফানেকের চিঠি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চারলস হোয়াইটলি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দি রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে একজন পার্লামেন্ট সদস্য চিঠিটি লিখেছেন। এটি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট, ইউরোপিয়ান কমিশন বা ইউরোপিয়ান কাউন্সিল থেকে আসেনি।

উল্লেখ্য ইভান স্টেফানেক গত ২০ জানুয়ারি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) জোসেপ বোরেলকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে একটি চিঠি লেখেন।

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে সাতশর বেশি সদস্য আছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত চারলস হোয়াইটলি বলেন, একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি যেটি ভালো মনে করেছেন, সেটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখেছেন। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়।

ওই চিঠির ফলাফল কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইইউতে ২৫ বছর ধরে কাজ করছি। এখানে প্রথা হচ্ছে কোনও চিঠি লেখা হলে সেটির জবাব দেওয়া হয়। আমি নিশ্চিত ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঠিক সময়ে ওই চিঠির উত্তর দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, ওই পার্লামেন্ট সদস্য টাকার বিনিময়ে এই চিঠি লিখেছেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সদস্যকে কেউ সাহায্য করেছে কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই।

নির্বাচন

রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে একটি আইন সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে যার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।তিনি বলেন, সম্প্রতি বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন সামনের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবেন বাংলাদেশ, এতে আমরা উৎসাহিত বোধ করছি।

প্রতিবছর ৩০টি দেশে পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় এবং ২০২৩ সালে কোনও ৩০টি দেশে পাঠানো হবে সেটি এখনও নির্ধারিত হয়নি বলে জানান রাষ্ট্রদূত।