আরও ২১ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৩১ শতাংশের বেশি

ওমিক্রনের প্রভাবে টানা চারদিন ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হবার পর পঞ্চম দিনে রোগী সংখ্যা কমে এসেছে। কমেছে নমুনা পরীক্ষাও। শনাক্ত রোগী সংখ্যা কমলেও গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের চেয়েও বেশি মৃত্যু হয়েছে।  ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হারও ৩১ শতাংশের ওপরে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (২৮ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা ) করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭৮ জন। শুক্রবার ১৫ হাজার ৪৪০ জন শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল অধিদফতর। এছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি ১৫ হাজার ৮০৭ জন, ২৬ জানুয়ারি ১৫ হাজার ৫২৭ জন আর ২৫ জানুয়ারি ১৬ হাজার ৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

নতুন শনাক্ত হওয়া ১০ হাজার ২৩০ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত করোনাতে মোট শনাক্ত হলেন ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ২০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩২৯ জন মারা গেলেন।

আর গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ১০৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন বলে জানাচ্ছে অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৩ হাজার ২৩০টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৭৩টি। যেখানে শুক্রবার ৪৬ হাজার ২৯২টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৬ হাজার ২৬৮টি  নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩১৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ৩৬১টি। দেশে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী সাত জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ১০২ জন,  নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ২২৭ জন।

গত ২৪  ঘণ্টায় মতদের মধ্যে  ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ছয় জন।  ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী পাঁচ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী চার জন আর ৫১ থেকে ৬০ ও ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী তিন জন করে। ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ মানুষের মৃত্যু হয়েছে; ১২ জনের। এরপর চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের দুজন করে আর রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন একজন করে। মৃতদের মধ্যে ১৮ জনেরই মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। আর বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।