ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলা হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

‘পঁচাত্তরের পরে ইতিহাস বিকৃত হয়েছিল’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান, তা মুছে ফেলা হয়েছিল। আসলে সত্যকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না, ইতিহাস ঠিকই ফিরে আসে। আজকে আমাদের সেই দিন।’

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২৪ বিশিষ্টজনের হাতে একুশে পদক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এ সময় অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত না থাকতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের শুভেচ্ছা জানান। পরবর্তী কোনও সময়ে দেখা হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক হস্তান্তর করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

পদক বিতরণ শেষে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখে যাচ্ছেন, সেখানে গবেষণা, সাংস্কৃতিক চর্চা থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন এসব ক্ষেত্রে যারা অবদান রাখছেন...। আমি জানি, সকলকে আমরা (সম্মাননা) দিতে পারি না। তবু আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে যারা একসময় অবদান রেখেছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো হারিয়েও যাচ্ছিলেন; আমরা তাদেরও খুঁজে বের করে সম্মান জানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাতে ইতিহাস বিকৃতির হাত থেকে আমাদের দেশের মানুষ মুক্তি পায়।

দেশের তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চাই এবং আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি যেন আন্তর্জাতিকভাবে আরও বিকশিত হয়, সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। সেই প্রচেষ্টাতেও আমরা সফলতা অর্জন করবো বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
 
‘গুণীজনরাই আমাদের পথ দেখান’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের অবদান বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যার জন্য আমাদের এই অগ্রযাত্রা সম্ভব হয়েছে। তাই সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে আপনাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন দেশের কল্যাণে কাজ করে, সেটাই আমি চাই।’