সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে সৌদি আরবকে পাশে পেলে বাংলাদেশের সুবিধা হবে

নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব একসঙ্গে কাজ করলে সেটি ঢাকার জন্য ভালো হবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে। সৌদি আরবকে পাশে পেলে আমাদের জন্য সুবিধা।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনেকে উগ্রবাদের পথে চলে যায়। সৌদি সরকার আমাদের পাশে থাকলে সেটাকে নিষ্ক্রীয় করতে আমাদের সুবিধা হবে। আদর্শগত ও কৌশলগতভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করতে সুবিধা হবে।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা বিষয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে সেটি বাংলাদেশের জন্য ভালো।

সৌদি আরবেও সন্ত্রাসী হামলা চলছে এবং এজন্য বাংলাদেশ বিষয়টির নিন্দাও করছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, দেশটির নিরাপত্তা উদ্বেগ আছে এবং এ বিষয়ে আমরা পূর্ণ সহমর্মিতা প্রদর্শন করি। অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম থেকে শুরু করে সবসময় বাংলাদেশ তাদের পাশে ছিল। মক্কা ও মদিনা রক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশের অকৃত্রিম প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইয়েমেন থেকে কিছুদিন পরপর হামলা চালানো হয় এবং আমরা এর নিন্দা জানাই।

 

অভিবাসন

২০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক সৌদি আরবে কর্মরত আছে এবং তারা রেমিট্যান্স পায়।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে অনেক দেশ নতুন করে লোক নেয়নি, এমনকি ফিরিয়েও দিয়েছে। সেখানে সৌদি আরবে প্রতি মাসেই বড় একটি সংখ্যার শ্রমিক যাচ্ছে। সুতরাং এটি যাতে অব্যহত থাকে সেটি দেখবো আমরা।

তিনি বলেন, এছাড়া সংখ্যার বিচারে এখন দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর দিকে নজর বেশি দেওয়া হচ্ছে। তারা অটোমেশনে যাচ্ছে। অর্থাৎ অদক্ষ শ্রমিকরা যে কাজ করে সেটি তারা রোবট বা অন্য কোনও মাধ্যমে করবে। সেখানে আমরা আমাদের অবস্থান করে নেবো। আমাদের শ্রমিকরা সেখানে কাজ হারিয়ে ফেললে বড় সমস্যা হবে।

দক্ষ শ্রমিক পাঠানো নিয়ে দুই দেশ আলোচনা করবে। তারা যদি আমাদের জানায় কোন ধরনের লোক দরকার, আমরা সেভাবে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে পারি বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।