শুরুতেই হোঁচট খেলো ইসির সংলাপ, আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদদের অর্ধেকও আসেননি

শুরুতেই হোঁচট খেলো নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপ। ধারাবাহিক সংলাপের শুরুর দিনে আমন্ত্রিতদের অর্ধেকের বেশি সাড়া দেননি।

রবিবার (১৩ মার্চ) বিকাল তিনটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে ৩০ জন আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদদের মধ্যে মাত্র ১৩ জন অংশ নিয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সংলাপ শুরু হয়।

প্রথমদিনের সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য দেশের বরেণ্য ৩০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সংলাপে যারা আসেনি তারা হচ্ছেন—প্রফেসর ইমেরিটাস ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী ভিসি ড. ফারজানা ইসলাম, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আতিকুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব)অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. ফেরদৌস হাসান, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাব্বত খান, অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ড. তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী।

সংলাপে যে ১৩ জন শিক্ষাবিদ অংশ নিয়েছেন তারা হলেন—বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মালিকুলার বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসাইন, প্রফেসর এম আবুল কাসেম মজুমদার, ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহানউদ্দিন খান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, লোকপ্রশাসন অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক লায়লুফার ইয়াসমীন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার।

এদিকে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ভিসি নিজে না এসে প্রতিনিধি হিসেবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খানকে পাঠিয়েছেন।

ইসি পর্যায়ক্রমে সকল শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করবে। এরপর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবে ইসি। সংলাপ শেষে নির্বাচন কমিশন তার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করবে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন (২৭ ফেব্রুয়ারি) শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি।

বিদায়ী কে এম নুরুল হুদা কমিশন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে সংলাপ করার আগে রোডম্যাপ তৈরি করেছিল। এক্ষেত্রে নতুন কমিশন সংলাপ করার পরে রোডম্যাপ তৈরি করবে।

এদিকে বিদায়ী কমিশন সমাজের বিশিষ্টজন ও পেশাজীবীদের নিয়ে দুই-তিনটি সংলাপ করলেও বর্তমান কমিশন এক্ষেত্রে বেশি সংখ্যক সংলাপ করবে বলে জানা গেছে।

নতুন কমিশন পেশাজীবীদের সেক্টরভিত্তিক বিভক্ত করে নিবিড়ভাবে তথ্য সংগ্রহের জন্য তুলনামূলক বেশি সংখ্যক সংলাপ করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।