২১-২৫ মার্চ ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ

বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তনের কারণে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে আগামী ২০ মার্চ মধ্যরাত থেকে ২৫ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত (২১-২৫ মার্চ) ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। এ সময় কাউন্টার থেকে ম্যানুয়ালি শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে।

সোমবার (১৪ মার্চ) রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন রেলভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর আগে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পালন করতো সিএনএস নামক প্রতিষ্ঠান। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সহজ কাজটি পায়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘রেলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। মানুষকে আরও ভালো সেবা দেওয়ার উদেশ্যে আমরা নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছি। কারণ রেলওয়ের টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা আনা ও সহজলভ্য করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, রেলওয়ের টিকিট বিক্রির নিজস্ব ক্ষমতা এখনও গড়ে ওঠেনি। কাজেই এ ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।’

চুক্তি অনুযায়ী সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি প্রাথমিকভাবে চলমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে এবং আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি বিআরআইটিএস (BRITS) দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত সিএনএস লিমিটেড কর্তৃক রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের কম্পিউটারাইজড টিকিটিং পরিচালনা করা হবে। পরে ৭৭টি স্টেশনে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি কর্তৃক কম্পিউটার টিকিটিং সিস্টেম পুনরায় সচল রাখার জন্য সিস্টেমে কিছু কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। যার জন্য ন্যূনতম পাঁচ দিন সময় প্রয়োজন হবে। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট ইস্যু কার্যক্রম একদিনও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই, তাই টিকিট ইস্যু কার্যক্রম সফলভাবে সচল রাখার লক্ষ্যে আগামী ২১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিন অনলাইনে এবং কাউন্টারে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করার পরিবর্তে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শতভাগ টিকিট ইস্যু করা হবে।

২৬ মার্চ হতে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কম্পিউটারাইজড টিকিটিং সিস্টেম পুনরায় চালু করা হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাঁচ দিনের পরিবর্তে দুই দিনের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে এবং এ ক্ষেত্রে সব টিকিট উন্মুক্ত থাকবে, কোনও কোটা বা আসন সংরক্ষিত থাকবে না।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। এ সব টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট অনলাইন/মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে।