বিমানের নোটিশে বিভ্রান্তি

বিদেশ থেকে দেশে আসার আগে অনলাইনে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণের পদ্ধতি চালু করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে ফরমটি পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগেই ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নোটিশ দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন প্রবাসীরা। বিমানের নোটিশের কারণে বিভিন্ন দূতাবাসও যাত্রীদের অনলাইনে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণের নির্দেশনা দিয়ে ফেসবুকে প্রচার করছে।

কিন্তু অনলাইন ফরমটি পুরোপুরি চালু না হওয়ায় দেশে এসে আগের মতো আবার হাতে লিখেই ফরম পূরণ করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

জানা গেছে, দেশে আসার পর বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য দিতে একটি ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হয় হেলথ ডেস্কে। এই ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে গিয়ে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ কষ্ট কমাতেই অনলাইন ফরম চালু করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) চিঠিও দিয়েছে অধিদফতর।

277443955_1643592972667015_8662496865368026966_n

বেবিচক চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়ে অধিদফতরের দেওয়া চিঠিটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশও করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

এছাড়া এ ব্যাপারে যাত্রীদের জানাতে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নোটিশও দিয়েছে বিমান। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আসতে হলে অনলাইনে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করে আসতে হবে।

ইতোমধ্যে অনেক যাত্রী ওই ফরম পূরণ করে দেশে এসে পড়ছেন বিপত্তিতে। কারণ, কিউআর কোড যুক্ত ফরমটি যাচাই করার সক্ষমতা এখনও হয়নি হেলথ ডেস্কের। এটি কার্যকরও হয়নি। ফলে যাত্রীদের আবারও বিমানবন্দরে ফরম পূরণ করতে হচ্ছে।

এদিকে বিমানের নোটিশের ওপর ভিত্তি করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ফরম পূরণ করে দেশে যাওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিঠি পেলেও বেবিচক বলছে, তারা নতুন কোনও পদ্ধতি কার্যকর করে নির্দেশনা জারি করেনি। কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে যাত্রীদের পূরণ করা তথ্য যাচাই করা হবে সেটা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।

এ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ থেকে একটি চিঠি বেবিচক চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়েছে। এখনও তা কার্যকর করে বেবিচক কোনও সার্কুলার দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, অনলাইন পদ্ধতি চালু করতে ইমিগ্রেশনের সহায়তা প্রয়োজন হবে। তারা কীভাবে সহায়তা করতে পারে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেই দ্রুত এ পদ্ধতি কার্যকর হবে।

এ প্রসঙ্গে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনিযুক্ত নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

নির্দেশনা আসার আগেই কেন তা প্রচার করা হচ্ছে জানতে যোগাযোগ করা হলেও বিমানের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।