বীর মুক্তিযোদ্ধা কূটনীতিকদের তালিকা তৈরির আহ্বান

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কূটনীতিকদের তালিকা তৈরির ওপর জোর দিয়েছেন সাবেক কূটনীতিকরা। বাংলাদেশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে আরও বেশি জানার সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানান সাবেক কূটনীতিকরা।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম যদি জানতে চায় তাহলে আনন্দের সঙ্গে তাদের ওই সময়ে কী হয়েছিল সেটা বলতে আগ্রহী। এ বিষয়ে আমার বই লেখার কাজ চলছে।’

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয় এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজেদের উদ্যোগে ও অর্থে ১৯৮০ সালে পয়লা বৈশাখ আয়োজন করি। তখন ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছিল।’

‘যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করেছি এবং এ যুদ্ধেও আমরা জিতবো।’

সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিয়ার রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগে যেসব কূটনীতিক পক্ষ ত্যাগ করেছে বা চাকরি  ছেড়ে দিয়েছে তাদের পূর্ণ তালিকা তৈরি করা দরকার।

সাবেক কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইরাক, আর্জেন্টিনা ও ফিলিপিন্সে ওই সময় রাষ্টদূতরা বাঙালি ছিলেন এবং তারাও পক্ষত্যাগ করেছিলেন। এর ফলে সারা বিশ্বে একটি আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।’

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রধান আলী হোসেনসহ ৬৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী পক্ষ ত্যাগ করেন এবং এদিন বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ উপলক্ষে দিনটিকে ফরেন সার্ভিস ডে পালন করা হয়।