শ্রম খাতের জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান মেয়াদের মধ্যে পূর্ণ বাস্তবায়নের তাগিদ

শ্রম পরিস্থিতি উন্নতির জন্য গৃহীত জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান ২০২১-২৬ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটি আরও দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ইইউতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ২০২৯ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং এরপর জিএসপি প্লাস সুবিধার আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া সম্ভব। এই সুবিধা অব্যহত রাখার জন্য জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যানের পূর্ণ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি এবং এটি করার জন্য ইইউ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।

বুধবার (২০ এপ্রিল) ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কমিটি অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড আয়োজিত এক মত বিনিময় সেশনে ইইউ সংসদ সদস্য, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রতিনিধি এবং আইএলও বাংলাদেশ প্রধান অংশগ্রহণ করেন। ওই সেশনে বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দেন ব্রাসেলসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ।

২০২৫ এর আগে রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল আইনের সংশোধন, শ্রম আইনের সংশোধন, শিশুশ্রম বন্ধ, কৃষি ও শিল্পসহ সব খাতে শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা, সংগঠন করার স্বাধীনতা, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণসহ আরও অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

আলোচনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে আমাদের অগ্রগতি সবাইকে জানাবো।

তিনি বলেন, এটি অস্বীকার করার কোনও কারণ নেই যে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের উন্নতি করতে হবে।

অগ্রযাত্রায় অংশীদার হওয়ার জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারিত্ব একটি সফল গল্প। আজকে ৫০ বছর বা ২০ বছর আগের দিকে তাকাই এবং বর্তমানকে বিবেচনা করি। তবে আমরা বুঝবো আমরা কত দূর অগ্রসর হয়েছি। আজকের আলোচনায় বিভিন্ন ধারণা পাওয়া গেছে। একদিকে বাস্তবায়নের জন্য শুভেচ্ছা এবং অন্যদিকে অনেক কিছু বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, হয়তো এটি অনেকে বিবেচনায় নেয় না যে, ১ লাখ ৪৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গার মধ্যে ১৭ কোটি লোক বাস করে। জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ বিভিন্নমুখি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে যে সুবিধা দিয়েছে সেটির সাফল্যজনক ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ এবং এই সুবিধা দেওয়ার জন্য ইইউকে ধন্যবাদ। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না এবং আমাদের অনেক দূর যেতে হবে এবং জোর দিতে চাই যে, আমরা ঠিক পথে আছি।