বাড়তি ৪.৫ লাখ টন পটাশ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি কানাডার

বাংলাদেশের আমদানি করা সারের বড় অংশ আসে রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব দেশ থেকে আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় বিকল্প উৎস থেকে সার সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় সরকার। এতে সাড়া দিয়েছে কানাডা। উত্তর আমেরিকার দেশটি থেকে প্রতিবছর সাধারণত দেড় লাখ টন পটাশ সার আমদানি করে বাংলাদেশ। এ বছর বাড়তি সাড়ে চার লাখ টন সার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খলিলুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চল থেকে পটাশ সার আনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দূতাবাস থেকে কানাডার সরকারের সঙ্গে সহায়তার জন্য যোগাযোগ করা হয় এবং তারা সাড়ে চার লাখ টন বাড়তি সার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এই সার আমদানি করবে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন এবং কানাডার পক্ষে কানাডানিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের রফতানি করবে বলে রাষ্ট্রদূত জানান। গোটা বাণিজ্যিক প্রক্রিয়াটি সরকারি পক্ষের মাধ্যমে হবে।

উল্লেখ্য, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশের বিপুল পরিমান সার আমদানি করে থাকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে শুধু সার নয় গমসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানিও সমস্যার মুখে পড়েছে।

ডাল ও গম

কানাডাতে প্রচুর পরিমানে ডাল ও গম উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ডাল আমদানির জন্য কানাডা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

রাষ্ট্রদূত খলিলুর রহমান বলেন, ডাল আমদানির বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। এক্ষেত্রে ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) আমদানি করবে এবং কানাডানিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন রফতানি করবে।

গম আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ঢাকা থেকে এ বিষয়ে যদি আমাকে জানানো হয় তবে অবশ্যই আমি পদক্ষেপ নেবো’।