একসঙ্গে তেলের দাম এত বাড়ানোটা আমাদের ভুল ছিল: বাণিজ্যমন্ত্রী

তেলের দাম একসঙ্গে বেশি বাড়ানোতে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‌‌‘একসঙ্গে তেলের দাম এত বাড়ানোটা আমাদের ভুল ছিল। রোজার আগে, মাঝে এবং পরে ধাপে ধাপে বাড়ালে অসাধু ব্যবসায়ীরা আর সুযোগ নিতে পারতো না।’

সোমবার (১৬ মে) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ তিনি এসব কথা বলেন।

ভোজ্য তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনীয় তেলের ৯০ ভাগই আমাদের আমদানি করতে হয়। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়লে আমাদের দেশেও বেড়েই যায়। তখন আর উপায় থাকে না।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘ঈদের পর দাম বাড়বে এটা শুনেই ব্যবসায়ীরা ঈদের ১০ দিন আগে থেকেই বাজার থেকে তেল সরিয়ে নিলো।’

সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে এখনও বাজারে বোতলের গায়ের দাম অনুযায়ী তেল বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না। সাপ্লাই এবং চাহিদা ঠিক থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণেই থাকে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। তাই এত সমস্যায় পড়বে না দেশ।’ তবে যে যেখানে আছেন সবাই যাতে সাশ্রয়ী হই এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।

টিপু মুনশি বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে অনেককিছু কাটছাট করছে খরচের ক্ষেত্রে। সবাইকেই এটা করতে হবে। কারণ যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে সমস্যা বাড়তে পারে।’

গমের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এখন গমের দামও বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি জিনিসপত্রের দামের ওপর পড়েছে।’ তিনি জানান, ব্রাজিলসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকেও গম আনা হবে।

টিপু মুনশি বলেন, ‘তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো কখনোই হবে না। কারণ সরকার যথেষ্ট সচেতন আছে সব ব্যাপারে। তাই বিরোধীরা যতই বলুক, সেসব কথার ভিত্তি নেই।’

এই মূহুর্তে পেঁয়াজের দাম চড়া হলেও সেটা ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।