আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পাহাড়ে পুলিশই যথেষ্ট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় প্রত্যাহার হওয়া সেনা সদস্যদের ক্যাম্পে চুক্তির শর্ত অনুসারে এপিবিএন ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। বুধবার (২৫ মে) রাঙামাটি শহরের জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় এপিবিএন ও পুলিশই যথেষ্ট মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, ‘প্রয়োজন হলে র‌্যাবও আসবে, পুলিশও থাকবে। আমাদের পুলিশ এখন আগের চেয়েও অনেক সক্ষম।’

মন্ত্রী বলেন, বছর দুই আগে অনুষ্ঠিত এক সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রথাগত নেতৃত্ব ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনায় পাহাড়ে অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন দল উপদলের সংঘাত নিরসনসহ বিভিন্ন পরামর্শ ও সুপারিশের প্রেক্ষিতে আজকের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির আলোকে সেনা ক্যাম্পের জায়গায় এপিবিএন মোতায়েনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। 

সভায় পার্বত্য শান্তিচুক্তি, ভূমি কমিশনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ধীরে ধীরে সব সমস্যার সমাধান হবে।

রাত ৮টায় শুরু হওয়া সভা শেষ হয় রাত ১০টায়। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার সেনাবাহিনীর-২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদীন, রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, তিন জেলার প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।