পাচার হওয়া টাকা দেশে আনা যাবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, নির্দিষ্ট পরিমাণে ট্যাক্স পরিশোধ করে বিদেশে পাচার করা টাকা বৈধ পথে দেশে আনার সুযোগ পাওয়া যাবে। ডলার আমাদের দরকার। ডলার ক্রাইসিস মেটাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

অর্থমন্ত্রী জানান, নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্স নিয়ে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়া হবে। এটি আপনারা বাজেটে পাবেন, বাজেটে এটা থাকবে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিষয়টি পরিষ্কার করা হবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের এখান থেকে যারা টাকা নিয়ে গেছেন, এটি তাদের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি সুযোগ, এটা তারা কাজে লাগাবেন। সব দিক থেকে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন দেশে তো এমন সুযোগ অনেকে নিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়া যখন এমন একটি অ্যামনেস্টি ঘোষণা করলো, তখন অনেক টাকা বিদেশ থেকে ফেরত এলো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাইছি বিভিন্ন সময়ে যেসব কালো টাকা বিদেশে থেকে গেছে, বিভিন্ন সোর্স থেকে যেন সেটি আনতে পারি। অনেক সময় বলা হয়, বিদেশে যারা টাকা নিয়ে গেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? আমরা বলেছি, যাতে টাকাগুলো দেশে ফেরত আসে।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাজেটের আগেই আমরা এটা করার চেষ্টা করছি। নিজেরাও চিন্তা-ভাবনা করছি। এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেওয়া হবে, সেটি আমরা জানি। সংসদে বাজেট উত্থাপিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে বলতে চাই না। যখন কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, সেটি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার ইস্যু করবে, তার মাধ্যমেই আপনারা জানতে পারবেন।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কত টাকা পাচার হয়ে গেছে সেটির ধারণা দিতে পারবো না। যেসব টাকা বিভিন্ন চ্যানেলে চলে গেছে, সেগুলো ফেরত আনার জন্য এই উদ্যোগ। এ ধরনের অ্যামনেস্টি (সাধারণ ক্ষমা) বিভিন্ন দেশে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ফরেন রিজার্ভ ভালো আছে। এখনও ফরেন রিজার্ভে আশপাশের দেশের তুলনায় আমরা অনেক স্বাভাবিক অবস্থায় আছি।’