অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস প্রশংসনীয় অবদান রাখছে: স্পিকার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাওয়ার্ডস প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছরের সফলতা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন কর্তৃক বনানীর হোটেল শেরাটনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারস’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্পিকার।

অনুষ্ঠানে ২০১৮ থেকে ২০২০ সেশনে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্নকারী ১৪০ জন স্কলারকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় এবং ২০২২ সেশনের জন্য নির্বাচিত ৪৮ জন স্কলারকে বরণ করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ডানকান ম্যাক্কালাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুআর স্বাগত বক্তব্য রাখেন। স্কলারশিপ সমাপ্তকারীদের মধ্যে নম্রতা খীসা এবং নতুন স্কলারশিপ প্রাপ্তদের মধ্যে মো. আলিমুজ্জামান মিলন বক্তব্য রাখেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অস্ট্রেলিয়া ১৯৭০ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ দিয়ে আসছে। নারী, শারীরিকভাবে চাহিদাসম্পন্ন এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীদের মধ্যে স্কলারশিপ দেওয়া এই অ্যাওয়ার্ডস কার্যক্রমের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। স্কলারদের তিনি অর্জিত উচ্চতর দক্ষতা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের সেবায় কাজে লাগানোর জন্য অনুরোধ করেন।

স্পিকার বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা জন্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এসডিজি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১, ডেলটা প্ল্যান ২০২১-এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারস এবং অ্যালামনাই, অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।