জাতিসংঘের তিন এজেন্সির কার্যনির্বাহী বোর্ডের বাংলাদেশ সফর

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং ইউএনওপিএস (প্রজেক্ট সার্ভিস)-এর কার্যনির্বাহী বোর্ডের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যক্রম দেখতে এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ সফর করেছে।

জাতিসংঘ ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কার্যনির্বাহী বোর্ডের সভাপতি, রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী প্রতিনিধি ইয়োকা ব্রান্ডেটের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি গত ২৫ জুন ঢাকায় এসে পৌঁছায় এবং ১ জুলাই ঢাকা ত্যাগ করে।

ইয়োকা ব্রান্ডেট ছাড়াও সদস্যদের মধ্যে সুইডেন, বুলগেরিয়া, গুয়াতেমালার স্থায়ী প্রতিনিধি লুইস আন্তোনিও লাম প্যাডিলা, আনা কারিন এনেস্ট্রোম ও লাসেজারা স্টোয়িবা ছিলেন।

আরও ছিলেন জাতিসংঘ কেনিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি নাম্বি  কিনইউনগু, কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (কিউএফএফডি)-এর আন্তর্জাতিক সহায়তা গবেষক মাশায়েল মুফতাহ। তাদের সঙ্গে ইউএনডিপি নিউইয়র্কে কর্মরত কার্যনির্বাহী বোর্ডের ডেপুটি সেক্রেটারি দালিতা বালাসানিয়ান, ইউএনএফপিএর নির্বাহী বোর্ড শাখার প্রধান স্যামুয়েল কোরিজ এবং ইউএনওপিএস নিউইয়র্ক বোর্ড এবং বৈদেশিক সম্পর্ক দফতরের প্রধান উলিয়াম অ্যাক্সেলসন ছিলেন।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের নেতৃত্বে জাতিসংঘের বাংলাদেশ কান্ট্রি টিমের সঙ্গে একটি বৈঠকের মাধ্যমে মিশনটি শুরু হয়।

পরে তারা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নেন এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও জাতিসংঘের অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

সরকারের সঙ্গে ইউএনডিপির বাস্তবায়িত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, ইউএনএফপিএর নারীবান্ধব স্থান/নারী নেতৃত্বাধীন কমিউনিটি সেন্টার এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইউএনওপিএস কর্তৃক বাস্তবায়িত স্বাস্থ্য ক্লিনিক পরিদর্শন করেন তারা।

এছাড়াও প্রতিনিধি দলটি, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং কক্সবাজারের সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি স্থানীয়করণের বিষয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগ সম্পর্কে তারা একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

ইয়োকা ব্রান্ডেট তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সুবিধার্থে এটিকে আরও জোরদার করতে চাই। আমরা এখানে দেখতে এসেছি, কীভাবে আমরা সেই লক্ষ্যে আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারি, বিশেষ করে দেশটি যখন স্বল্পোন্নত অবস্থান থেকে উত্তরণে পথে এগোচ্ছে।’

পররাষ্ট্র সচিব, মাসুদ বিন মোমেন সফরকালে বলেন, ‘জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে একটি শক্তিশালী উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এবং এই মিশন আমাদেরকে সেসব ক্ষেত্র পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করার সুযোগ দিচ্ছে যেগুলোতে আলোকপাত করা প্রয়োজন।’