বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছর নিয়ে নিউইয়র্কে বৈঠক

ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনীতির বিবেচনায় বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান হারে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ভৌগোলিকভাবে কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থান, তারুণ্যের প্রাচুর্য, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামোর উন্নয়ন ও বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স ও ট্যাক্স বর্হিভূত সুবিধার কারণে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) নিউইয়র্কে ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছর: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে একথা বলেন বক্তারা। নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কনস্যুলেট থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দি সোসাইটি অ্যান্ড ডিপ্লোমেটিক রিভিউর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক গ্লোরিয়া স্টার কিনস, এমপেঞ্জো ইন্ডাস্ট্রিয়াল গার্মেন্টস প্রা. লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হালিল আকদোগান এবং ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিক পিটার স্টুয়ার্ড গাটম্যানসহ আরও অনেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক উঠে আসে। প্রাধান্য পায় রোহিঙ্গা ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা।

এ সময়ে কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পর্যটন খাতের কথা বিশেষভাবে চিহ্নিত করেন।