ইসির সঙ্গে সাক্ষাতে সহযোগিতার আশ্বাস ওইসিডির

ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে আগামী জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় কতিপয় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। রবিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনের নেতৃত্বে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ১৪টি দেশের কূটনীতিকরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতে এ অভিমত ব্যক্ত করে।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিকাল তিনটা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎ শেষে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনি পরিবেশ দেখতে চায়। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে যেকোনও সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত।

নির্বাচনে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিতের কথাও বলেন এই কূটনীতিক।

এদিকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উনারা এসেছেন। এটা একটা ট্র্যাডিশন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন-কানুন, আমাদের প্রস্তুতি জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জানিয়েছি। ইলেকশনটা ইনক্লুসিভ, অ্যাকসেপ্টবল, ফ্রি ও ফেয়ার হলে উনারা খুশি হবেন, দেশবাসীও খুশি হবে; এই আশাবাদ উনারা ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি আমাদের দিকে থেকে ইলেকশন কমিশন হিসেবে যা যা করণীয় করবো। উনারা খুশি। বলেছি ভবিষ্যতেও যখন প্রয়োজন হয়, আসবেন।

সহযোগিতা করার বিষয়ে তারা কিছু বলেছে কিনা, এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘আমরা চট করে নিজেরা কিছু বলিনি। আমরা বলেছি নিজেরা আলোচনা করে দেখবো। কোনও কারিগরি সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমরা তাদের জানাবো।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা ইলেকশন রিলেটেড। হতে পারে ভোটার এডুকেশন বা ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি। নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কী ধরনের সহযোগিতা উনারা দেবেন বা আমরা কী ধরনের চাইবো। উনারা পর্যবেক্ষণের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, আমাদের দিক থেকে কোনও বাধা নেই।

১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস, কানাডার হাইকমিশনার লিলিও নিকলস, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইননি এস্ট্রুপ পিটারসেন, ফ্রান্সের সহকারী রাষ্ট্রদূত গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন, স্পেনের ফ্রান্সিসকো ডি এস-এস বেন-তেজ সালাস, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান এবং জাপানের হেড অব মিশন ইয়ামায়া হিরোয়ুকি।