অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের

পুনঃনির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রবিবার (৭ আগস্ট) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা জানান তিনি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ডিজেল চালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া সমন্বয়ে শনিবার বিআরটিএ-তে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব ও বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনসহ অংশিজনদের বৈঠকে ভাড়া পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। সে আলোকে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, অতীতের মতো এবারও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জনস্বার্থে শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন।

প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে শনিবার দূরপাল্লার বাস ভাড়া ২২ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর মধ্যে চলাচল করা বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। ঢাকার আশপাশের এলাকায় চলাচল করা বাসের ক্ষেত্রে তা ১৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২১ সালে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর দূরপাল্লার বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছিল ২৭ শতাংশ। অপর দিকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ মহানগরীর বাসে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। তখন বড় বাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়। মিনিবাসে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়। তখন মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৮ টাকা ও বড় বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ১০ টাকা। কিন্তু বাস মালিকরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দূরপাল্লা ও মহানগরীর মধ্যে চলাচল করা বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করেন।

এ ভাড়া বৃদ্ধি গ্যাস চালিত মোটরযানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না এবং ভাড়ার হার প্রতিটি বাস ও মিনিবাসের দৃশ্যমান স্থানে আবশ্যিকভাবে টানিয়ে রাখতে হবে।