‘বঙ্গমাতার চালচলনে ছিল মধ্যবিত্ত নারীর আটপৌরে রূপ’

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন-সংগ্রাম থেকে বর্তমান প্রজন্মকে রাজনীতি এবং মানবিকতা শেখার পরামর্শ দিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, ‘বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অতি সাধারণ জীবন যাপন করতেন। জীবনে কোনও কিছু আবদার করেননি স্বামীর কাছে বা শ্বশুরের কাছে। তার কোনও জৌলুস ছিল না, ছিল না কোনও চাকচিক্য। তিনি অতি সাধারণ জীবন যাবনে অভ্যস্ত ছিলেন। দুইবার মন্ত্রীর স্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী, প্রেসিডেন্টের স্ত্রী, কিন্তু তারপরেও তার চালচলনে ছিল শাশ্বত বাঙালি মধ্যবিত্ত নারীর আটপৌঢ়ে রূপ। ছিল না কোনও লোভ-লালসা বা সুখ-আহ্লাদ।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার (৮ আগস্ট) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘আগস্টের ট্র্যাজেডির সবচেয়ে বড় ট্র্যাজিক কুইন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তার মতো ভুক্তভোগী মানুষ খুব কম আছে। স্বামী রাজনীতি করেন, বেশিরভাগ সময় জেলে থাকেন। বাচ্চাগুলো নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদদের ঘিরে তার জীবন। বেশিরভাগ সময়ই প্রিয়তম স্বামীর অপেক্ষায় নির্মম সময় কেটেছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে মানবিক ও চারিত্রিক গুণাবলিতে আমরা বিমোহিত হই, তার সবগুলোই তিনি অর্জন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব থেকে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানকে মূলহোতা দাবি করে তার মরণোত্তর বিচার চেয়েছেন পরশ। একইসঙ্গে তিনি সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানান।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. হাবিবুর রহমান পবন, এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম,সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড.শামীম আল সাইফুল সোহাগ প্রমুখ।