সারের মজুত পর্যাপ্ত, বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপিসহ সব ধরণের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। দেশের কোথাও যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে— আমরা নিবিড়ভাবে মনিটর করছি। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

রবিবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সারে কোনও রকম প্রভাব পড়বে না। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে না, তবে কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা বাড়বে।

‘মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে’ জানিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আড়াই বছর ধরে চলমান কোভিড পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা সংকটের কারণে খাদ্যপণ্যের দাম, সারের দাম, তেলের দাম ও গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। এর ফলে মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সচেতন। মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার নিবিড়ভাবে ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

স্বল্প আয়ের, সীমিত আয়ের ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে ১৫ টাকা কেজিতে ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সার-খাদ্যশস্যের দাম কমার আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, সার রফতানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, ইউক্রেন থেকে শস্য রফতানি উন্মুক্ত হয়েছে। ইউক্রেন থেকে গম রফতানি শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমতে পারে। এসবের প্রভাব দেশেও পড়বে, খাদ্যপণ্যের দাম কমবে।