বঙ্গবন্ধু জাতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাড়ে তিন বছর সরকারে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু ওই অল্প সময়ের মধ্যে জাতিকে শক্ত ভিত্তি দিয়েছিলেন তিনি।

সোমবার (১৫ আগস্ট) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্টমন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কার্যকর নেতৃত্বের জন্যেই মাত্র দুই মাসের মাথায় আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সৈন্য ফিরে গেছে। বঙ্গবন্ধুর কারণেই সাড়ে তিন বছরেই আমরা ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। প্রতিটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, প্রত্যেকের সদস্য পদ, এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদ অর্জন করি। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর  নেতৃত্বের কারণে।’

মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ঘাতকদের দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য যা যা করার, আমি যতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছি, এই প্রচেষ্টা অবশ্যই চালিয়ে যাবো।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড শুধু একটি হত্যাকাণ্ডই নয়, একটি স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক জাতিকে পরাধীন ও সাম্প্রদায়িক করার পাশবিক চক্রান্তও বটে। আমরা যদি মুজিব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রগুলো বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখবো— একটি স্বাধীন জাতিকে মূলত তারাই ধ্বংস করতে চায়, যারা সাম্রাজ্যবাদের পূজারি বা সাম্রাজ্যবাদের মদদদাতা। সুতরাং, যারা সাম্রাজ্যবাদী এবং যারা সাম্রাজ্যবাদের ক্রীড়নক তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারী হতে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নকারী পর্যন্ত সবাই অপরাধী, সবাই মুজিবের হন্তারক।’

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ গড়তে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়নে জাতির পিতা যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর মাত্র কয়েক বছরেই তাঁর নেতৃত্বে ও তাঁর প্রজ্ঞায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় বাংলাদেশ সদস্যপদ লাভ করে। পাশাপাশি প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি শান্তিকামী রাষ্ট্র হিসেবে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে শুরু করে।’

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।