দেশের প্রকৃতির মতো ব্যবসায়ীরাও অস্থির: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের প্রকৃতি যেমন অস্থির ব্যবসায়ীরাও তেমন অস্থির। বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে ৭/৮ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা খোলাবাজারে চাল বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দেশে উৎপাদিত চালের দাম বেঁধে দেওয়া সম্ভব না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে দাম বেঁধে দেবে সেটা আমদানিনির্ভর চালের জন্য।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোটার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সংলাপে খাদ্যমন্ত্রী দেশে খাদ্যের মজুদ, অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ, নিত্যপণ্যের  দাম নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্যের কোনও ঘাটতি নাই এই মুহূর্তে। খাদ্যের ঘাটতি মেটানোর জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা হচ্ছে। চালের কোনও সংকট নেই। গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত চাল মজুদ আছে। এরপরেও অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সামাল দিয়ে চালসহ খাদ্যসামগ্রীর দাম ভোক্তাদের নাগালে রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে আটাও খোলা বাজারে (ওএমএস) বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি এতে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হয় এমন খবর প্রচার না করার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।  এমন নিউজ প্রচার করার অনুরোধ করেন যাতে ভোক্তারা উৎসাহিত হয়।