গোপালগঞ্জে করোনাসহ ১২ ধরনের টিকা তৈরি হবে

গোপালগঞ্জে নির্মাণাধীন ভ্যাকসিন তৈরি ও গবেষণা প্লান্টে গোপালগঞ্জে নির্মাণাধীন ভ্যাকসিন তৈরি ও গবেষণা প্লান্টে করোনা ভাইরাসসহ ১২ ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব ভ্যাকসিন বিদেশেও রফতানি করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকে চলতি অর্থ বছরে (২০২২-২৩) ভ্যাকসিন তৈরি ও গবেষণা প্লান্ট স্থাপন করে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরুর সুপারিশ করা হয়। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ওই সুপারিশের অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

এতে জানানো হয়—ভ্যাকসিন প্লান্ট স্থাপনে জমি অধিগ্রহণে ২৮ কোটি ৬৭ লাখ ২৬ হাজার ৭৯০ টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। এ টাকা অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস লি. (ইউডিসিএল)’র নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পে অর্থায়নে এশিয়ান ডেভেলপন্ট ব্যাংক (এডিবি) সম্মতি দিয়েছে। তাদের প্রতিনিধি গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে তাদের সম্মতির কথা জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনার ভ্যাকসিনসহ ১২ ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে কাঁচামাল, টেকনোলজি ট্রান্সফার ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ক যাবতীয় কাজ সম্পাদনের জন্য দাফতরিকভাবে একজন পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে উৎপাদিত ভ্যাকসিন বিদেশে রফতানির জন্য ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির ম্যাচুরিটি লেবেল ৩-এ উন্নীত করতে ঔষধ আইন ২০২২ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে গোপালগঞ্জে ভ্যাকসিন তৈরি এবং গবেষণা প্ল্যান্ট স্থাপন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমে সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যালের অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক/সহকারী অধ্যাপকদেরকে গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আ.ফ.ম রুহুল হক, মুহিবুর রহমান মানিক, মো. আব্দুল আজিজ, সৈয়দা জাকিয়া নুর এবং মো. আমিরুল আলম মিলন অংশগ্রহণ করেন।