ইলিশের দাম বাড়ার যে যুক্তি দিলেন মন্ত্রী

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের জন্য ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর মোট ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, কেনাবেচা মজুত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা কেউ না মানলে এক থেকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে উপকূলীয় ইলিশ প্রজননক্ষেত্রের সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায়।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সচিব ড. নাহিদ রশিদ।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘চলতি বছর ১ হাজার ৩৫৩ মেট্রিক টন ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এতে আয় ১ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা পেয়েছে বাংলাদেশ।’

গত ১২ বছরে দেশে ইলিশ আহরণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৮-০৯ সালে ছিল ২ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়েছে।

ইলিশের দাম বৃদ্ধি অযোক্তিক না। কারণ জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইলিশ মাছের যে দাম, তা অস্বাভাবিক না। দেশে এখনও সব মানুষের কাছে ইলিশের চাহিদা পৌঁছায়নি। তাই ভবিষ্যতে আর নতুন করে কোনও দেশে ইলিশ রপ্তানি হবে না। এ বছর শুধু বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানি হয়েছে ভারতে।’

ইলিশ ধরা বন্ধের এই কয়েক দিনে জেলেদের জন্য ভিজিএফের পরিমাণ ২০ কেজি থেকে বাড়িয়ে ২৫ কেজি করা হয়েছে। এর আওতায় ৫ লাখ ৫৫ হাজার জেলে পরিবারকে ১৩ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে।