সুপারিশ করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

রাষ্ট্রীয় সেবা পেতে পিতৃপরিচয় লাগবে না ‘যুদ্ধশিশুদের’

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাতে নিপীড়িত বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারিভাবে গৃহীত হলে নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ‘পিতৃপরিচয়’ উল্লেখ করতে হবে না। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।

বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ার আবেদনের পর সোমবার (২৪ অক্টোবর)  জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৮২তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব নারীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বীরাঙ্গনা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। তাদের সন্তানদের বাবার নাম নেই। এ কারণে তাদের সন্তানেরা যেন চাকরিক্ষেত্রে, রাষ্ট্রীয় নাগরিক অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার না হন, সে কারণে ওই সন্তানদের পিতার নামের প্রয়োজন হবে না। তারা ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবেন।”

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটাকে কেবিনেটে পাঠাবো। এরপর তা আইন হবে বা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ পাবে।’