বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উৎসবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। সম্মেলনে জানানো হয়, শিশুদের মধ্যে মুক্তবুদ্ধি চর্চার আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মে ২০১৬ পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। উৎসবে ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। ৬৪টি জেলায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৬৪ জেলার বিজয়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ৮টি আঞ্চলিক উৎসব। আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীদের নিয়ে মে মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় উৎসব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বিশ্বায়নের ফলে জ্ঞান বিজ্ঞানের সব দরজা মানুষের জন্য খোলা। সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হলে নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত যুক্তিবাদী, দেশ প্রেমিক, পরমসহিষ্ণু হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তৈরি করতে হবে আগামী দিনের জন্য। এক্ষেত্রে বিতর্ক ও কুইজ শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে কাজ করবে।
শিশু একাডেমীর পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশি শিশু একাডেমী শিশুদের সার্বিক বিকাশের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি ও ই-বিনোদনের এই যুগে শিশুরা ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে যেন নিজস্ব সৃজনশীলতা বিকাশে সক্ষমতা অর্জন করে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে সে ব্যাপারে শিশু একাডেমী সবসময় সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। শিশু একাডেমী গ্রন্থাগারের মাধ্যমে নিয়মিত গ্রন্থাগার সেবার পাশাপাশি গ্রন্থাগারভিত্তিক বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন শিশু একাডেমীর গ্রন্থাগার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজিনা আক্তার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ডা. আবদুন নূর তুষার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ শুকরানা, কুইজার্স বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইরফান মোহাম্মদ আবীরসহ একাডেমীর কর্মকর্তারা।
/এআইএ/এজে/